কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সম্পত্তির সি.এস, এস.এ, আর.এস ও হাল রেকর্ডের তথ্যঃ
জেলা/থানা |
সি. এস রেকর্ড |
এস. এ রেকর্ডের তথ্য (একরে) |
আর. এস. রেকর্ডের তথ্য (একরে) |
হাল রেকর্ডের তথ্য (একরে) |
||||||||
এস্টেটের নামে |
খাস খতিয়ান |
ব্যক্তির নামে |
বন বিভাগ |
এস্টেটের নামে |
খাস খতিয়ান |
ব্যক্তির নামে |
বন বিভাগ |
এস্টেটের নামে |
খাস খতিয়ান |
ব্যক্তির নামে |
||
ঢাকা মহানগরী |
১,০৩৫.৫৩২১ |
২,৩১০০ |
৫০.০০০০ |
৯৮৩.২২২১ |
– |
৭৪.৯২৬২ হাতির ঝিলে৭২.৬১৬২ একর জমিসহ |
৫০.০০০০ |
৯১০.৬১২১ |
– |
৩৮৮.৫৩৩৮ |
৫০.০০ |
৫৯৬.৯৯৮৩ |
সাভার থানা |
৪৮.৭৮০০ |
– |
১২.০০০০ |
৩৬.৭৮০০ |
– |
– |
১২.০০০০ |
৩৬.৭৮০০ |
– |
জরিপ চলমান |
||
কেরানীগঞ্জ থানা |
১৫২.৯১০০ |
– |
৩২.০০০০ |
১২০.৭১০০ |
– |
– |
৩২.২০০০ |
১২০.৭১০০ |
– |
জরিপ চলমান |
||
নারায়ণগঞ্জ জেলা |
২২.২৩০০ |
– |
০৬.২০০০ |
১৬.০৩০০ |
– |
– |
০৬.২০০০ |
১৬.০৩০০ |
– |
জরিপ চলমান |
||
ময়মনসিংহ জেলা |
০.১৩০০ |
– |
– |
০.১৩০০ |
– |
– |
– |
০.১৩০০ |
– |
জরিপ শুরম্ন হয়নি |
||
গাজীপুর জেলা |
২৯,১৬১.৩৪২০ |
১৯৪.৮০২০ |
৩,৬৬২.২৫০০ |
১,১৬০.৬৯০০ |
২৪,১৪৩.৬০০০ |
১৯৪.৮০২০ |
৩,৬৬২.২৫০০ |
১,১৬০.৬৯০০ |
২৪,১৪৩.৬০ |
জরিপ শুরম্ন হয়নি |
||
মোট= |
৩০,৪২০.৯২৪১ |
১৯৭.১১২০ এস্টেটের দখলে |
৩,৭৬২.৪৫০০ |
২,৩১৭.৫৬২১ |
২৪,১৪৩.৬০ |
২৬৯.৭২২০ এস্টেটের দখলে |
৩,৭৬২.৬৫০০ |
২,২৪৪.৯৫২১ |
২৪,১৪৩.৬০ |
৩৮৮.৫৩৫৮ |
৫০.০০ |
৫৬৯.৯৯৮৩ |
ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সি.এস রেকর্ডীয় মোট ৩০,৪২০.৯২৪১ একর জমির মধ্যে এস.এস রেকর্ডে এস্টেটের নামে মাত্র ১৯৭.১১২০ একর জমি এবং আর.এস রেকর্ডে ২৬৯.৭২২০ একর জমির রেকর্ড পাওয়া যায়। The Court of Wards Act, ১৮৭৯ (Bengal Act, IX of 1879) অনুসারে কোর্ট অব ওয়ার্ডস পরিচালিত হয়। উক্ত আইনের ৬(ই) ধারা বলে ১৯১১-১২ সালে ভাওয়াল রাজ এস্টেট কোর্ট অব ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে আসে। আইনের ৫ নং ধারা বলে সরকারের বোর্ড অব রেভিনিউ ১৯৭৩ সাল পর্যমত্ম কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে বোর্ড অব রেভিনিউ এর বিলুপ্তির পর কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব সরাসরি সরকার পালন করেন। ১৯৮৫ সালে ভূমি প্রশাসন বোর্ড গঠনের পর কোর্ট অব ওয়ার্ডসের দায়িত্ব উক্ত বোর্ডের উপর অর্পণ করা হয় এবং ১৯৮৯ সালে ভূমি সংস্কার বোর্ড গঠিত হওয়ার পর কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর দায়িত্ব ভূমি সংস্কার বোর্ড এর উপর ন্যসত্ম করা হয়। বর্তমানে ভূমি সংস্কার বোর্ড কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর কার্যাবলী তত্ত্ববাবধান করে আসছে। ভাওয়াল রাজ এস্টেট কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর আওতায় আসার পর থেকে বোর্ড অব রেভিনিউ এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতে থাকে। তখন বোর্ড অব রেভিনিউ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা কালেক্টরদের মাধ্যমে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করত। ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে এস. এ জরিপের সময় কিছু ভূমিগ্রাসী স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি/মহল জরিপ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারীর যোগসাজসে ভাওয়াল রাজ এস্টেটের বিপুল পরিমাণ জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড সম্পাদন করতে সামর্থ হয়। ১৯৭০ এর দশকে রিভিশনাল ভূমি জরিপের সময়ও অনুরূপভাবে অনেক জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড হয়ে যায়। বিগত দু’টি জরিপে এস্টেটের সিংহভাগ জমি বেহাত হয়ে যাওযায় ঢাকা মহানগরীর সিটি জরিপে ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সি.এস রেকর্ডীয় ১,০৩৫.৫৩২১ একর জমির মধ্যে হাল রেকর্ডে এস্টেটের নামে মাত্র ৩৮৮.৫৩৫৮ একর জমি রেকর্ড পাওয়া যায়। বাকী ৫০.০০একর জমি খাস খতিয়ানে, ৫৯৬.৯৯৮৩ একর বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়। উক্ত জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য ভাওয়াল রাজ এস্টেট থেকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে এযাবত প্রায় ৪০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরো দায়েরের অপেক্ষায় রয়েছে। উলেস্নখ্য, সাভার থানা, কেরানীগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ থানার জরিপের কাজ চলমান। গাজীপুর জেলায় এখনো জরিপের কাজ শুরম্ন হয়নি। ব্যক্তির নামে জমি রেকর্ড হওয়ার সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চিহ্নিত করে সরকারী সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন।